বাউফলে কাচাঁ ফুল ব্যবসায়ী মফিজ গাজী

বাউফলে কাচাঁ ফুল ব্যবসায়ী মফিজ গাজী

সাইফুল ইসলাম, বরিশাল.লাইভ :পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার কাচাঁ ফুলের সফল ব্যবসায়ী মফিজ গাজী। সামান্য তিন হাজার টাকা পূঁিজ নিয়ে ব্যবসা শুরু করলে বর্তমানে ৪ লক্ষাধিক টাকার মূলধন রয়েছে তার। ছড়িয়ে পড়েছে  বাউফল, দশমিনা ও দুমকী উপজেলা কাঁচা ফুলের ব্যবসা। মফিজ গাজী হাতের ছোঁয়া কাঁচা ফুলের ব্যবহার থেকে বাদ পড়েনি আর্ন্তজাতিক মাতৃ ভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস বিজয় দিবসসহ অন্যান্য জাতীয় অনুষ্ঠান বিনোদন ও সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো। জাতীয় দিবস পালনসহ সকল অনুষ্ঠানে ফুলের ব্যবহার বাড়ছে। ফুল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস বন্দরে এ কাচা ফুলের দোকান। বাউফল-বরিশাল সড়কে বিলবিলাস বাজারে মধ্যে হাইস্কুলের সামনে। দোকানের সামনে ভিতরে রয়েছে কাঁচা ফুল। ঢাকা শাহবাগ এলাকায় ফুলের দোকান গিয়ে একাধিক বার শিখে নেয় কাঁচা ফুলের ব্যবহার  ও গাড়ী সাজানো। যশোর বেনাপূল থেকে কাচা ফুল সংগ্রহ করেন। প্রতি বৃহসপতিবার গাড়ী যোগে বাউফলে পৌঁছে থাকে এ ফুল।
কাচা ফুলের তৈরি কৃত রিং ৭শ থেকে ১ হাজার টাকা, ফুলের তোরা  ৩৫০ থেকে ৫শ টাকা, বাসর ঘর সাজানো দেড় হাজার-২ হাজার টাকা এবং গাড়ী সাজানো ৭শ থেকে ২ হাজার টাকা। এ কাজে ফুলসহ আনুষঙ্গিক খরচ শেষে লাভও রয়েছে। দোকান প্রতি মাসিক ভাড়া ৪ হাজার টাকাসহ ৭ থেকে ৮ হাজার খরচ হয়ে থাকে।  তার দোকানে মাসিক বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মফিজ গাজী কাঁচা ফুলের দোকানোর বিভিন্ন পন্য। এর মধ্যে ষ্টশনারী মালামাল , শিশুদের খেলনা, অনুষ্ঠানের ব্যবহৃত পন্য এবং ব্যবসার শুরু ল-ি সরজ্ঝমাদি। স্থানীয় বিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ সকলের জামা, প্যান্ট  আয়রন করে থাকে। প্রতি আয়রন প্রতি ৫ টাকা নেওয়া হয়। এ টাকা ঘরভাড়া বিদ্যুৎ বিলসহ আনষঙ্গিক খরচ মিটে যায়।
প্রকৃতি নিয়ম ব্যবসায় লাভ লোকশান হবে তেমনি কাচা ফুলে দোকানে ঝুঁিক রয়েছে। অনেক দিন হলে ফুল নষ্ট হয়ে যায়। রয়েছে বাকী। সাথে পরিবহন খরচ অনেক। তারই প্রতিকুলতার মধ্যে মফিজ গাজী লাভ রয়েছে। ব্যবসায়ে মফিজ এর বড়ো স্বপ্ন হচ্ছে, উপজেলার সকল গ্রামে কাচা ফুলের ব্যবহার পৌছে দিতে একাধিক ব্যবসা কেন্দ্র তৈরি করা। এ ব্যবসায় সবচে যে গুন থাকা প্রয়োজন তার মধ্যে রাজনৈতিক দলসহ সকল প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তার সাথে ভালো যোগাযোগ, কাজে নতুনত্ব, কমিটমেন্ট রক্ষা করা।